দ্বীপের সুরক্ষা ও মাদক পাচার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বিজিবি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু • কক্সবাজার জার্নাল

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা পর্যটন ক্ষ্যাত স্পট প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে বিজিবির কার্যক্রম ও দ্বীপে নবগঠিত (বিওপি) ক্যাম্পের প্রস্তাবিত স্থাপনাটি পরিদর্শন করার জন্য দ্বীপে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম।

২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে তিনি সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফরওর্য়াড বেইজ এলাকায় পৌঁছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কক্সবাজার রামু (জিওসি) মেজর জেনারেল মাইন উদ্দিন চৈধুরী, বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ান কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুল রহমান,সেক্টর কমান্ডার মনজরুল হাসান খান।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান,অপারেশন অফিসার মেজর রুবায়াৎ কবীরসহ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান জানান, মহাপরিচালক দ্বীপে পৌঁছার পর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোস্টগার্ডের কার্যালয়ের পাশে লাইট হাউসে যান। সেখানে গিয়ে দ্বীপের নবগঠিত বিজিবি ক্যাম্প তৈরী করার প্রস্তাবিত জায়গাটি ঘুরে দেখেন।

জানা যায়,বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপ এলাকায় বিজিবির কার্যক্রম ছিল।
এরপর দ্বীপে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

অবশেষে দীর্ঘ ২২ বছর পর চলতি বছরের ৭ এপ্রিল কোস্টগার্ডের পাশাপাশি বিজিবিও সেখানে নিয়মিত টহল শুরু করে।

পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, সারাবিশ্বে পরিচিত পর্যটন ক্ষ্যাত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন উপকুলীয় সীমান্ত এলাকাটি সুরক্ষা করার পাশাপাশি মাদক পাচার প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ অব্যাহত রাখার জন্য এই দ্বীপে নতুন বিজিবির কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় এই দ্বীপে একটি নতুন (বিওপি) ক্যাম্প স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বিগত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে পর্যটন ক্ষ্যাত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে মিয়ানমার সরকার। তাদের দেশের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের এক ওয়েবসাইটে সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করে এবং প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখন্ডের অংশ বলে দাবী করে। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ওকে তলব করে তীব্রপ্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের মানচিত্র পরিবর্তন করার নির্দেশ দেয়।